মেয়েদের দুধের প্রকারভেদ মূলত একটি নয়, বরং সময় এবং শিশুর বয়সের ওপর নির্ভর করে এর গঠন, রঙ ও পুষ্টি উপাদানে পরিবর্তন আসে। প্রধানত তিন ধরনের মায়ের দুধ দেখা যায়, যার প্রতিটিই শিশুর নির্দিষ্ট পর্যায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন প্রকার মায়ের দুধ
প্রথমত, শিশুর জন্মের পর প্রথম কয়েক দিনে যে ঘন, হলুদ রঙের দুধ আসে, তাকে বলা হয় কোলোস্ট্রাম (Colostrum)। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টিবডি (Immunoglobulins) থাকে, যা নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শিশুর প্রথম 'টিকা' হিসেবে কাজ করে।
দ্বিতীয়ত, কোলোস্ট্রামের পর আসে ট্রানজিশনাল মিল্ক (Transitional Milk)। এটি সাধারণত জন্মের ৫ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে তৈরি হয়। এই দুধ পরিমাণে বেশি, হালকা হলুদ বা সাদা রঙের এবং এতে ফ্যাট, ল্যাকটোজ, ও ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা শিশুর দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
তৃতীয়ত, ট্রানজিশনাল মিল্কের পরে আসে ম্যাচিওর মিল্ক (Mature Milk)। এটি সাধারণত জন্মের দুই সপ্তাহ পর থেকে তৈরি হয় এবং এর ৯৯% অংশ জল। এই দুধের শুরুতে যে অংশ আসে, তাকে ফোরমিল্ক (Foremilk) বলা হয়। এটি পাতলা এবং জলীয়, যা শিশুর তৃষ্ণা মেটায়। এরপর আসে হিন্ডমিল্ক (Hindmilk), যা ঘন, ফ্যাটযুক্ত এবং ক্যালোরিতে ভরপুর। এটি শিশুর পূর্ণতা ও শক্তি জোগায়। তাই, প্রতিটি দুধের ধরনই শিশুর সম্পূর্ণ বিকাশের জন্য অপরিহার্য।