প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
- নারী কনডম
- জল-ভিত্তিক লুব্রিকেন্ট (যেমন, KY Jelly)
- টিস্যু
- তোয়ালে
ধাপে ধাপে ব্যবহার

- প্যাকেজিং সাবধানতার সাথে খুলুন, কনডম ছিঁড়ে না যায়।
- কনডমের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিন।
- কনডমে কোন ছিদ্র বা ফাটল নেই কিনা তা নিশ্চিত করুন।
২. কনডম প্রবেশ:
- যোনি ছিদ্রের দিকে মুখ করে কনডমের বৃহত্তর রিংটি ধরুন।
- কনডমের ভেতরের আংশে লুব্রিকেন্ট লাগান।
- ভাঁজ করা অবস্থায় কনডম যোনিতে প্রবেশ করান, বৃহত্তর রিংটি যোনির বাইরে রেখে।
- মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করে কনডমের ভেতরের অংশটি যোনির মধ্যে ঠেলে দিন।
- বৃহত্তর রিংটি যোনির বাইরে, যোনিপথের কাছে স্থির রাখুন।
৩. যৌনতা:
- যৌনমিলনের সময় কনডম স্থির রাখুন।
- যৌনমিলনের পর, পুরুষাঙ্গ যোনি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে কনডমটি ধরে রাখুন।
- কনডমটি যোনি থেকে বের করে টুইস্ট করে বন্ধ করুন।
- টিস্যুতে মুড়িয়ে ফেলে ডাস্টবিনে ফেলুন।
কিছু টিপস:
- যৌনমিলনের আগে কনডম ব্যবহার করুন।
- তেল-ভিত্তিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করবেন না, কারণ এটি কনডম ছিঁড়ে যেতে পারে।
- একবার ব্যবহারের পর কনডম পুনর্ব্যবহার করবেন না।
- প্রতিটি যৌনমিলনের জন্য নতুন কনডম ব্যবহার করুন।
- যোনিতে কোনো অস্বাভাবিকতা অনুভব করলে কনডম ব্যবহার বন্ধ করুন এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
নারী কনডম ব্যবহারের সুবিধা
- এটি গর্ভধারণ রোধে ৯৮% কার্যকর।
- এটি যৌনরোগ (STD) থেকে রক্ষা করে।
- এটি ব্যবহার করা সহজ।
- এটি পুরুষের উপর নির্ভরশীল নয়।
- এটি যৌনমিলনের আগে দীর্ঘ সময় ধরে প্রবেশ করানো যায়।
নারী কনডম ব্যবহারের অসুবিধা
- এটি পুরুষ কনডমের তুলনায় দামি।
- এটি ব্যবহারের সময় কিছুটা শব্দ হতে পারে।
- এটি সঠিকভাবে প্রবেশ না করালে ছিঁড়ে যেতে পারে।
আরও তথ্যের জন্য:
- আপনার নিকটতম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।