বন্ধ্যাত্ব কি? বন্ধ্যাত্ব কাকে বলে?

বন্ধ্যাত্ব কি?

বন্ধ্যাত্ব হল এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি দম্পতি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরাপদ যৌন মিলনের পরেও গর্ভধারণ করতে পারে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, বন্ধ্যাত্বকে "সন্তান ধারণে ব্যর্থতা" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

বন্ধ্যাত্বের কারণ

বন্ধ্যাত্বের দুটি প্রধান কারণ রয়েছে: পুরুষ এবং মহিলা। 

পুরুষ বন্ধ্যাত্বের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • শুক্রাণুর সংখ্যা কম বা নিম্ন মানের
  • শুক্রাণুর গতিশীলতা কম
  • শুক্রাণুর আকৃতি অস্বাভাবিক
  • শুক্রাণুর পরিবহন বা সংরক্ষণে সমস্যা

মহিলা বন্ধ্যাত্বের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ডিম্বাশয়ের সমস্যা, যেমন ডিম্বাশয়ের অকার্যকারিতা বা ডিম্বাশয়ের সিস্ট
  • জরায়ুর সমস্যা, যেমন জরায়ুর আকার বা আকৃতির অস্বাভাবিকতা
  • টিউবাল সমস্যা, যেমন ডিম্বনালীর বাধা বা ডিম্বনালীর সংক্রমণ
  • হরমোন সমস্যা, যেমন অনিয়মিত মাসিক বা বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে এমন অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যা

বন্ধ্যাত্বের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বয়স
  • পূর্ববর্তী অস্ত্রোপচার
  • দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেমন ডায়াবেটিস বা সিস্টিক ফাইব্রোসিস
  • কিছু ওষুধ, যেমন কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং তীব্রতার উপর। কিছু ক্ষেত্রে, চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, কারণ বন্ধ্যাত্ব নিজে থেকেই সমাধান হয়ে যেতে পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রে, ওষুধ, অস্ত্রোপচার বা ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) এর মতো প্রজনন চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

বাংলাদেশে কত শতাংশ দম্পতি বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি দশ দম্পতির মধ্যে এক দম্পতি বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভোগেন।

বন্ধ্যাত্ব একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে, তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সারিয়ে তোলা সম্ভব। বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন এমন দম্পতিদের অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

Premium By Raushan Design With Shroff Templates

Related Posts